মাদারীপুরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ করিমকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোসাম্মদ রোখসানা হায়দারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে মো. মাসুদ করিমকে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এদিকে মাসুদ করিমের বদলি হওয়ায় খুশি ও আনন্দ উৎসব করেছেন জেলা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
এর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দেন।
এ ছাড়াও তার বদলির জন্য সরাসরি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
সাধারণ শিক্ষকরা মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষা অফিসার অফিসে কাজের বিনিময়ে অন্যান্য শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিস ফাঁকি দিয়ে নেশায় আসক্ত হন, ঘুষের টাকায় অফিসে এসি লাগানো, অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে যাতায়াতসহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়। যা সরকারি নিয়ম পরিপন্থি কাজের শামিল।
বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে ৬ মার্চ অভিযোগ দাখিলকারী ১১ জন শিক্ষকের সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘মাসুদ করিম কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক লাঞ্ছিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ অফিসার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার দুর্নীতির তদন্ত হয়েছে। অসৎ উপায় অবলম্বন করে তিনি সব কিছু ম্যানেজ করে চাকরি করে গেছেন। তার বদলির খবরে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দ উৎসব ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা একটি অভিযোগও সত্য নয়। শিক্ষকরা আমার অফিসে সিন্ডিকেট ও তদবির বাণিজ্য করতে না পারায় এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছে। আর বদলির বিষয়টি চাকরির নিয়মিত প্রক্রিয়া।
ইএইচ