নীলফামারীতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন সোমবার তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন এ তথ্য জানান।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, গত ৮ জুলাই সদরের রামগঞ্জ বাজার থেকে চার্জার ভ্যান চালক আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্লাহকে (৬০) অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার কথা বলে ডোমারের ধরনীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় চক্রের সদস্য বাবু মিয়া (৩০) ও মফিজুর ইসলাম (২৫)।
পথে জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে কলমদার ব্রিজের পার্শ্বে শ্মশান ঘরে রেখে ভ্যান নিয়ে যায়। বিষয়টি ভ্যানচালকের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বলেন, সদর থানায় অভিযোগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলা পুলিশের চারটি চৌকস টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত চক্রের দুই আসামি সদর উপজেলার রামনগড় বিষমুড়ি এলাকার মৃত আকিবার রহমানের ছেলে বাবু মিয়া (৩০) এবং সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর কুখাপাড়া এলাকার মো. হোসেন আলীর ছেলে মফিজুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাই মালামাল হেফাজতকারী দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সিট আলোকদিহি এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম (২৮) এবং একই জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর (পলাশবাড়ী) এলাকার মো. ফারুক হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসাথে চোরাইকৃত ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীলফামারী সদর ও জলঢাকা সার্কেল (পিপিএম সেবা) মো. মোস্তফা মঞ্জুর, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তানভীরুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ