ধনবাড়ীতে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৪, ১১:১৩ পিএম
ধনবাড়ীতে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর বলদীআটা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ ও গর্ভনিংবডির কমিটির বিদুৎসাহী বেলাল হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে এলাকাবাসীর মাঝে এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম এলাকাবাসীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ঘটনার তদন্ত করেছে মঙ্গলবার ধনবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার বানিয়াজান (সাবেক বীরতারা) ইউনিয়নের বলদীআটা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা ও বিএসবি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের বিদুৎসাহী হিসেবে কমিটিতে বিধি বিধান বহির্ভূতভাবে পদে রয়েছেন স্থানীয় বেলাল হোসেন আকন্দ।

অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম ও এলাকাবাসী রিপন মিয়া, সাদ্দাম ও দেলোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানান, বেলাল হোসেন আকন্দ দুই প্রতিষ্ঠানের বিদুৎসাহী পদে থাকার সুবাদে সে নিয়ম বর্হিভূর্তভাবে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিক্ষক—তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী তার পছন্দমতো প্রার্থী নিয়োগে ব্যক্তিগত ভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়মিত নিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় কেউ তার বিরুদ্ধে সত্য সঠিক কথা বলতে চাইলেই তাকে মারপিটের হুমকি দেয়। এ যাবৎ নিয়োগ দিয়ে বেলাল গাড়িসহ বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বহুতল আলিশান বাড়ি নির্মাণ করে রাজকীয় জীবনযাপন করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

এ সময় তারা আরও উল্লেখ করেন, বিগত দিনে বেলাল হোসেন আকন্দ ও তার বাহিনী সাত্তার কান্দি বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির কারণে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছিলো। এনিয়ে ওই সময়ে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক আজকের প্রত্যাশা ও স্থানীয় দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকায় চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাই আমরা এই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী বেলাল হোসেন আকন্দের দুই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের বিদুৎসাহী পদ থেকে অপসারণের দাবিসহ তার দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে বলদীআটা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিয়োগের ২২ লক্ষ টাকা আমি হাতে পেয়েছি। বাকী টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আর প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমের রেজুলেশন করা আছে। গর্ভনিংবডির কমিটির সভাপতি বর্তমান বানিয়াজান ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম তালুকদার ফটিক সাহেব ও বিদুৎসাহী বেলাল হোসেন আকন্দ সহ সকল সদসদ্যের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়।

ইএইচ