নবাবগঞ্জে ‘একটি সেতু‍‍’ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
নবাবগঞ্জে ‘একটি সেতু‍‍’ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর

রাজধানী ঢাকার পাশেই অবস্থিত নবাবগঞ্জ উপজেলা। প্রায় ২০ বছর হলো একটি সেতুর জন্য অপেক্ষায় আছেন উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ। তারা স্বপ্ন দেখেন হয়ত তাদের স্বপ্নের সেই সেতু একদিন নির্মাণ হবে।

গৃহবধূ মিম আক্তার বলেন, একটি সেতু নির্মাণের অপেক্ষায় আর কত সময় পার করলে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। আর কতদিন অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে নয়নশ্রী ইউনিয়নের খ্রিষ্টানপল্লী অধ্যুষিত তুইতাল-বকচর খালের উপর সেতু নির্মাণ নিয়ে। অনেক এমপি কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ভাইতো ইচ্ছে করলে পারেন। তবে কেন আমরা কষ্ট করবো। আবেগে কথাগুলো বলেন তিনি।

নয়নশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি পলাশ চৌধুরী বলেন, এ অঞ্চলের গ্রামের মানুষের যাতায়াত দুর্ভোগ নিরসনে সেতু নির্মাণের জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা ছিল আমাদের। প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা-১) আসনের এমপি সালমান ফজলুর রহমান বিষয়টি অবগত হয়েছেন। শিগগির্ে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়ায় আসবে ইনশাল্লাহ।

এক সময় এ খালে খেয়া পার করতেন শংকর মাঝি। তিনিই বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন। শংকর মাঝি বলেন, তিনি নিজের টাকা দিয়ে কাঠ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। তাই প্রতিদিন টোল নেন ৫ টাকা করে। অনেকে টাকা না দিয়েও চলে যায়। তবে একটি সেতু তৈরি করলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হবে।

চর তুইতাল এলাকার আবু কালাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইছামতি নদীর সংযোগ খালে তুইতাল-বকচর পারাপারে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। আশপাশের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই খাল পার হয়ে হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কাজে যেতে হয়। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। স্বাধীনতার পর এখানে একটি কাঠের পুল ছিল। সেটি ভেঙে গেছে প্রায় ২৫ বছর আগে। এরপর থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যা আমাদের জন্য নিরাপদ নয়।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য এখানে সেতু নির্মাণ জরুরি। আমরা খালের দুই পারের মাটি সমীক্ষা করেছি। দ্রুতই একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। কিছুটা প্রক্রিয়ার অগ্রসরও হয়েছে।

ইএইচ