চলমান কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়াসহ রাস্তাঘাটে জ্বালও পোড়াওসহ দুর্বৃত্তায়ন করেছে বিশেষ একটি মহল। এ সকল দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণ করতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।
দেশের সম্পদ নষ্টকারী ও তাদের উষ্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ অভিযানের অংশ হিসেবে বরগুনা জেলায় নাশকতার অভিযোগে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ছয়টি উপজেলার সকল থানায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর থেকেই নাশকতার আশঙ্কায় গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই পূর্বের নাশতার অভিযোগের মামলার আসামি। বরগুনা সদর থানায় ৮ জন, আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তালতলী থানায় ৫ জন, পাথরঘাটা থানায় ৬ জন, বামনা থানায় ৩ জন ও বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আটকের সংখ্যা পরে জানাবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
এছাড়াও নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়ার অভিযোগে জেলার একমাত্র বামনা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি নতুন মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় সাইমুল ও জাফর নামের ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার মন্ডল বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত জামায়াত নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইমুল ও জাফর নামক দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।
বরগুনা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, দেশের সম্পদ নষ্টকারী ও নাশকতার আশঙ্কায় বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৮ জন ও বামনা থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আরো ২ জনসহ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৪০ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইএইচ