মাদারীপুরে নদীগর্ভে বিলীন বসতবাড়ি ও ফসলি জমি

মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
মাদারীপুরে নদীগর্ভে বিলীন বসতবাড়ি ও ফসলি জমি

মাদারীপুরের কালকিনিতে বর্ষায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আড়িয়াল খাঁ নদীর তীব্র স্রোতের তোপে মুখে পড়ে ভাঙনে প্রায় ১০টি বসতবাড়ি ও ১ কিলোমিটার ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে প্রায় নদীর পাড়ের অর্ধশতাধিক কৃষক পরিবার।

অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে অন্য এলাকায় বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া অনেকে রয়েছে ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে। যে কোনো মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে তাদের বসতবাড়িও।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিডিখান এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও নতুন করে আড়িয়াল খাঁ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ এলাকার ফয়জর আলী, হুমায়ন, নুরু, দিদারসহ  ১০টি বসতবাড়ি ইতোমধ্যেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে মহব্বত হোসেন, রায়হান ও নজু হোসেনসহ ১০টি পরিবার।

ভাঙন আতঙ্কিত পরিবারগুলো তাদের গুরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়ারিয়া এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। নদী ভাঙনে বসতভিটা হারানো অনেকেই পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে জীবন-যাপন করছেন। এ এলাকার ১ কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে গাছপালা, ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

সিডিখান এলাকার ভাঙন কবলিত তাহেরসহ বেশ কয়েকজন জানান, রাক্ষসী আড়িয়াল খাঁ নদী আমাদের সব কিছুই কেড়ে নিয়ে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি এক রাতের মধ্যে নিয়ে গেছে। নিমিষেই আমাদের সব স্বপ্ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সাহেবরামপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মান্নান ও রানাসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এই বর্ষাকাল আসলেই আমাদের চিন্তা বেড়ে যায়। বছরের পর বছর আমাদের জমি আড়িয়াল খাঁ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেখার মত আমাদের কেউ নেই। আমাদের মত শতশত পরিবার পথের ফকির হয়ে নদী ভাঙ্গনের কারণে এলাকা ছেড়েছে। কিন্তু তাতে কারো কিছু আসে যায় না। শেষ হলে আমরা হচ্ছি।

সিডিখান ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান চানমিয়া শিকদার জানান, নদী ভাঙনের বিষয় আমরা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পারলে তাদের অনেক উপকার হত।

সাহেবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ সরদার জানান, আড়িয়াল খাঁ নদীতে বছরের পর বছর ভাঙতেছে। আমরা অনেকবার ভাঙন কবলিতের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামনেও তাদের সহযোগিতা করা হবে।

এ ব্যাপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম জুমার দাশ জানান, সরকারিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ