পাট কাটা ও ধোয়ায় ব্যস্ত কৃষক

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
পাট কাটা ও ধোয়ায় ব্যস্ত কৃষক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমিতে ফলনও কম হয়েছে। এ ছাড়া আগাম বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা অপরিপক্ব পাট কেটে ফেলায় পাটের ফলন কম হয়েছে। এতে করে এ উপজেলার পদ্মাপাড়ে চরাঞ্চলের পাট চাষিদের নানা কারণে মাথায় হাত।

চরম হতাশায় তারা পাট চাষের প্রতি মনোবল হারাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চলের কৃষকরা হয়ত ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ অর্থ বছরে গোয়ালন্দে চার হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা থাকলেও মাত্র চার হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।

তবে দৌলতদিয়া, উজানচর, ছোটভাকলা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ বেষ্টিত এলাকায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।

এসব এলাকায় জলাশয় না থাকায় দূরদূরান্তের পথ অতিক্রম করে নদীতে পাট জাগ দেয়ায় উৎপাদন খরচ আরো বেড়েছে।

সরেজমিন উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তমিজ উদ্দিন মৃধার পাড়া, উজানচর ইউনিয়নের চর কর্ণেশন ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা, কাওলজানি, মুন্সিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, পাটের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট বড় হয়নি।

দরিদ্র শ্রেণির কৃষকরা সেচও দিতে পারেনি। এতে করে মাঠকে মাঠ পাট মরে গেছে। ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকরা জ্বালানির জন্য ক্ষেতেই ফেলে রেখেছেন।

এ সময় তেনাপচা ও কাওলজানি গ্রামের কৃষক আপ্তার মোল্লা, হবি সরদারসহ একাধিক কৃষক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সব পাট মরে গেছে। এক টাকারও পাট বিক্রি করতে পারছি না। এক বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। তিন-চার মণ করে পাট হয়েছে। যা বিক্রি করে ৮-১০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

উজানচর ইউনিয়নের কৃষক আবু মুসা জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি আমার প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা, তিন থেকে চারবার জমিনের শেষ দিয়েছি, এর জন্য ফলন অনেক ভালো হয়েছে, আমার প্রতি বিঘা জমিনে ১১ থেকে ১২ মণ পাট হবে আশা করছি এবং বাজারে ৩ হাজার থেকে ৩২ শত টাকা পর্যন্ত দাম রয়েছে, এভাবে থাকলে আমাদের ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়া পাটের ফলন ভালো হয় নাই। তবে যারা সেচ দিয়েছে, তাদের মোটামুটি ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ করে ফলন হয়েছে। কৃষকরা পাটের দামও ভালো পাচ্ছেন।

ইএইচ