শ্রীপুরে পুলিশের ৩টি গাড়ি ও দুটি বক্সে আগুন

মাসুদ রানা, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
শ্রীপুরে পুলিশের ৩টি গাড়ি ও দুটি বক্সে আগুন

দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ করে।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়ীয়া মাষ্টারবাড়ী থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থান নিতে থাকে। দুপুরে আন্দোলনকারীরা পুনরায় জড়ো হয়ে মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর দিকে আসতে থাকে। তারা শ্রীপুর সড়কের ভাই ভাই সিটির নিচে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়িতে হামলা করে।

এক পর্যায়ে পুলিশের সবকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুইটি বক্সে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ইটপাটকেল ও দৌড় দিতে গিয়ে আনুমানিক ১৫ জন আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ, আব্দুল আওয়াল ডিগ্রি কলেজ, মাওনা পিয়ার আলী ডিগ্রি কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টায় লাঠি হাতে মাওনা উড়াল সেতুর নীচ দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শ্রীপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা উড়াল সেতুর নিচে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দেখে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের উভয় পাশে সতর্ক অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীরা উড়াল সেতু প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও আন্দোলনকারীদের মিছিলে বাধা দিতে দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে নিহত ছাত্রদের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।

তখন মিছিলে থাকা শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আসতে দেখে পুলিশ শ্রীপুর সড়কে অবস্থান নেয়। এর ফাঁকে উড়াল সেতুর রিচে রাখা হাইওয়ে পুলিশের দুটি বাক্সে আগুন দেয়। তারা হামলা করে পুলিশ বক্সের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, আমরা নিরস্ত্র হাতে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রীপুর সড়কের ভাই ভাই সিটিতে অবস্থান করছিলাম। আন্দোলকারীরা হঠাৎ করে নিরস্ত্র পুলিশের উপর হামলা করে। একপর্যায়ে তারা ভাই ভাই সিটির নিচে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পড়েও তারা উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সেও আগুন দেয়।

ইএইচ