ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে বিজয়নগর থানার এএসআই করিমের পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম মস্তোফা বাবুলের স্ত্রী রোমা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিজয়নগর থানার এএসআই করিমের অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। হঠাৎ তাদের এই পরকীয়া প্রেমের অশালীন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কল হিস্টোরি ফাঁস হয়ে যাই। যা প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই প্রবাসীর ছোট ভাই মো. গোলাম কিবরিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোমা আক্তারের দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকে। এই সুযোগে বিজয়নগর থানার এএসআই করিম তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তাদের এই পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে এএসআই করিম অভিযোগকারীসহ তার পরিবারের লোকদের বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দেয়। রোমা আক্তার এএসআই করিমের মদদে অভিযোগকারী ও তার পরিবারের লোকদের নামে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে।
অভিযোগকারী মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, এএসআই করিম আমাদের সোনার সংসারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তার কারণে আমাদের যৌথ পরিবার ভেঙে গেছে। তার মদদে রোমা আক্তার আমার পরিবারের লোকদের অযথা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতাছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রবাসীর মা খোরশিদা বেগমও এর বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী রোমা আক্তার জানান, আমি আমার সন্তানকে শাসন করার পর আমার শাশুড়ি ও কিবরিয়া আমাকে নির্যাতন করে। এ বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। আমি থানার অভিযোগ করার পর করিম স্যার তদন্ত করতে যায়।
এএসআই করিমের সাথে সারারাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও কলে কথা বলার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাতে আমাকে মারার জন্য আমার শাশুড়ি ও কিবরিয়া দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে আমি করিম স্যারকে ভিডিও কলে দেখিয়েছি। করিম স্যারের সাথে পরকীয়ার কথা মিথ্যা।
অভিযুক্ত এএসআই করিম বলেন, একটা অভিযোগের ব্যাপারে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। রোমা আক্তারের সাথে একদিন কথা হয়েছিল। তবে রোমা আক্তারের সাথে পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ইএইচ