ঝালকাঠিতে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
ঝালকাঠিতে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশত

ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রজনতা ও ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষে লিপ্তদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছাত্রজনতা দখলে নেয় পুরো ঝালকাঠি শহর।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেয়।

এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভুয়া ভুয়া বলেও বিক্ষোভ করেন ছাত্রজনতা। এছাড়াও তারা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণের সময় সরকার দলীয় সমর্থকদের সাথে তাদের শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

সংঘর্ষে শহরের কামারপট্টি চৌমাথার দ্বোতলায় একটি আধুনিক রেস্টুরেন্টে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করে সংঘর্ষে লিপ্তরা। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রজনতাকে আলাদা করে দেয়। তবুও দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের রোনালছে রোড, কামারপট্টি চৌমাথা, আমতলার মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহিতুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী, ছাত্রজনতা ও ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে ৬ জন আহত হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আরও কিছু বিচ্ছিন্ন আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

অপরদিকে জেলার কাঠালিয়া উপজেলায় বিক্ষোভকারীরা একটি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাজাপুরেও বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।

ইএইচ