ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিনে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আন্দোলনকারী হামলা করে।
হামলার মুখে টিকতে না পেরে ওই অফিসের সামনে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের কর্মীরা পালিয়ে গেলে বিক্ষুব্ধরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং সামনে থাকা প্রায় ১২টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে তারা ব্যাপক ভাঙচুর করে।
আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধরা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের ভবন দখল করে বানানো জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর বিক্ষোভকারীরা ফরিদ শাহ সড়কের কোটপাড় এলাকার দিকে যেতে চাইলে রাজেন্দ্র কলেজ ও জেলখানার মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা থানা রোডের শহর আওয়ামী লীগে কার্যালয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এরপর লাভলু সড়কে বিক্ষোভকারী সাথে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সাড়ে ১২টার দিকে জনতা ব্যাংকের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বক্স ভাঙচুর করে কোতয়ালী থানায় হামলা করতে ইটপাটকেল ছুড়তে এগিয়ে গেলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোতোয়ালি থানার চারপাশে পুলিশ ঘিরে রেখেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে অসহযোগ আন্দোনলে হাজার জাহার সমর্থক শহরের পশ্চিমখাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সমবেত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের সাথে অনেক নারী-পুরুষরা অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, হাজরা তলার মোড় আলীপুর নতুন সেতু, গোরস্থানের মোড় আলীপুর মোড় হয়ে প্রথমে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রডসহ ইটপাটকেল দেখা গেছে। পৃথক পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর সোয়া ১টা) বিক্ষোভকারীরা জনতা ব্যাংক মোড়ে মুজিব সড়কে অবস্থান নেয়। অপর দিকে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা দূরে অবস্থান নিয়েছে।
ইএইচ