সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে ছাত্র-জনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরে প্রবেশ করলে হাসপাতাল সংলগ্ন কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী ও অজ্ঞাত ৪-৫ আন্দোলনকারী আহত হন।
পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটলে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে প্রবেশ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা অডিটোরিয়াম ও ফুলবাড়ী থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাঁচ এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরের বঙ্গবন্ধুর মুরাল ভাঙচুর করে।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে নাজমুল নামের এক সংবাদকর্মী আহত হন।
পরে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব, উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস, ছাত্রলীগের অফিস, ফুলবাড়ী সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদের বাসভবন, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জাহিদ হাসান নয়ন পরিচালিত ফুলবাড়ী যুব মানবসেবা সংগঠন কার্যালয়, সদরের বৈশাখী হোটেল, জয় বাংলা পাঠাগারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এ সময় পোদ্দার মার্কেট এলাকায় এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিকের ১টি মোটরসাইকেলসহ ৫টি এবং তিণকোনা মোড় এলাকায় ২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। দুপুর একটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে ফেরত যাওয়ার সময় ফুলবাড়ী সোনালী ব্যাংক শাখার সিসি ক্যামেরা, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জানালা, নাওডাঙ্গা পুলের পাড় এলাকার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, শাহবাজার রংধনু পাঠাগার ভাঙচুর করে চলে যায়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নওয়াবুর রহমান বলেন, থানার সামনে আন্দোলনকারীরা এসে ইট- পাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
ইএইচ