সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। ১২টার দিকে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে কাজীর দেউরি, টাইগারপাস, কোতোয়ালীর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এসব এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় নিউমার্কেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক এফ এম মিজানুর রহমান এবং খবরের কাগজ পত্রিকার প্রতিবেদক এমকে মনির আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তাঁরা।
এদিকে সংঘর্ষে মোট ৩৫ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আহতদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সংঘর্ষের পর নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে মুরাদপুর-বহদ্দারহাট এলাকায় আন্দোলনকারীদের অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থায় পুরো নগরীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল খুব কম। গণপরিবহনের সংখ্যাও কম। মূল সড়কের বেশিরভাগ দোকান-পাট বন্ধ। অলিগলিতে কিছু দোকান-পাট খুলেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, যে কোনো প্রকার সংঘাত এড়ানোর জন্য নগর পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় কোনো হুমকি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
ইএইচ/আরএস