পাবনার ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা

সফিক ইসলাম, পাবনা প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
পাবনার ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা

গোটা পাবনা জেলা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না একজন পুলিশ সদস্য। খাঁ-খাঁ করছে বেশিরভাগ থানা। রাস্তায় নেই কোনো ট্রাফিক। ফলে রাস্তায় যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে রোদ বৃষ্টির মধ্যে কাজ করছে ছাত্ররা ছাত্রীরা।

বুধবার পাবনা জেলার পুলিশের অনুপস্থিতিতে তারা কাঁধে তুলে নিয়েছেন ট্রাফিকের দায়িত্ব।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন সেনাসদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার এবং আজ বুধবার পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কারফিউর পর গতকাল রাস্তায় যথেষ্ট যানবাহন চোখে পড়ে। বাস থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহনই রাস্তায় চলাচল করতে শুরু করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্যেই পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এ খবর পাওয়ার পরপরই নানা স্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর থেকেই নিষ্ক্রিয় পুলিশ।

পাবনা ঘুরে গতকাল এবং আজ বুধবার কোনো ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলেনি। ফলে ছাত্র ও জনতা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ট্রাফিকের দায়িত্ব।

শহরের জেবির মোড়, ট্রাফিক মোড়, রবিউল মার্কেটের মোড়, বড় বাজার মোড় ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন ছাত্র-জনতা লাঠি হাতে মুখে বাঁশি হাতে নানান নির্দেশনা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন।

গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়া হাতে ছোট লাঠি মুখে বাঁশি নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীদের একজন এ্যাডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী শোভন হোসে এবং স্বেচ্ছা সেবিকা কয়েকজন বলেন, কোথাও পুলিশ নাই। আমরা যেহেতু একটা জঞ্জাল দূর করেছি এই ট্রাফিকও দূর করতে পারব। শিক্ষার্থীদের এমন ভূমিকায় খুশি পাবনাবাসী।

ইএইচ