বিজয়নগরে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধে শিক্ষার্থীদের তৎপরতা

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
বিজয়নগরে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধে শিক্ষার্থীদের তৎপরতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধে দিনব্যাপী কাজ করেছে শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।

শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক ও চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার চৌধুরী এর সহায়তায় ও অনুমতিক্রমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথমে শিক্ষার্থীরা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যবেক্ষণ করেন। পুরো হসপিটাল ঘুরে ১ জন ভর্তি রোগী ছাড়া কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। হসপিটালের বেডগুলো ছিল নোংরা ও অপরিষ্কার। বেসিনের টেপগুলো নষ্ট, টয়লেটের ছিল নাজুক অবস্থা।

পরে শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মাসুমের কাছে হসপিটালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে এবং রোগীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে কিছু দাবি উপস্থাপন করেন।

ডা. মাসুম বলেন, নতুন উপজেলা হিসেবে এখানে ৫০ শয্যা হসপিটাল হলেও ৩১ শয্যার জনবল রয়েছে। জনবল কম থাকায় কিছু সেবা দিতে ব্যাহত হচ্ছে। এক্সরে করার জন্য নিকটবর্তী উপজেলা আখাউড়া থেকে একজন সপ্তাহে ২ দিন আসেন। অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নেই। আমার ব্যক্তিগত ড্রাইভার এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জনবল নিয়োগের জন্য চিঠি দিয়েছি। লোক নিয়োগ হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া আরো যেসব সমস্যা রয়েছে সবগুলো তিনি সমাধান করবেন বলে জানান।

পরে শিক্ষার্থীর চম্পকনগরের বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে নূরপুর সিএনজি স্টেশন ও টুকচাঁনপুর সিএনজি স্টেশনে গিয়ে স্টেশন মালিক ও ড্রাইভারদের সাথে কথা বলেন। তথ্যে বেড়িয়ে আসে শুধুমাত্র চম্পকনগর থেকেই মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা উঠে। চাঁদার এই ভাগ লাইনম্যান, মালিক সমিতি, থানা ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে যায়।

নূরপুর সিএনজি স্টেশনের মালিক মুছা মীর বলেন, আমরা প্রতিদিন ২ জন সিরিয়াল মেইনটেইন করি। সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা করে নেয়। আমাদের রুম ভাড়া মাসে ২ হাজার টাকা, মসজিদে দেয় ১ হাজার টাকা, পুলিশ ফাঁড়িতে দেয় ৫০০ টাকা, বাকী টাকা আমরা ২ জনে নেয়। তাছাড়া আমাদের এই স্টেশন থেকে প্রতি রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে ১ টি সিএনজি দিতে হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। রাষ্ট্র নতুন করে সংস্কার করতে হবে। কোনো প্রকার ঘুষ, অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করতে দেওয়া যাবে না। আমরা ছাত্র জনতা মিলে একটি দুর্নীতিমুক্ত আলোকিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই।

ইএইচ