কোটা আন্দোলনে প্রাণ হারালো নান্দাইলের ৫ জন

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
কোটা আন্দোলনে প্রাণ হারালো নান্দাইলের ৫ জন

সম্প্রতি অতিবাহিত কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী ছাত্র সমাজের এক দফা দাবির আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে নান্দাইল উপজেলার ৫ জন এবং আহত হয়েছে ৮ জন।

আহত ও নিহতদের অনেকেই শিশু, ছাত্র, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী। এছাড়া স্বৈরাচার সরকার পদ ত্যাগের পরবর্তী আনন্দ মিছিল তথা ছাত্র সমাজের বিজয় উল্লাস দেখতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র। ৫ আগস্ট ঢাকায় যাত্রাবাড়ি থানার সামনে সে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে তার পরিবারের লোকজন জানায়।

একই দিনে মুশুল্লী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার পুত্র সাকিবুল ইসলাম সাজু (১৪) গাজীপুরের মাওনা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত। সে মাওনা এলাকায় হার্ডওয়ারী দোকানে শ্রমিকের কাজ করতো।

গত ২১ জুলাই জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মো. জামান মিয়া (১৭) নরসিংদী শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সেখানে সে তানিয়া ডায়িং কোম্পানির শ্রমিক ছিল।

এছাড়া ২০ জুলাই গাজীপুরের সাইনবোর্ড বাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নান্দাইল ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র কাঁচামালের ব্যবসায়ী হুমায়ূন মিয়া (২৪) এবং একই দিনে ঢাকায় যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চামারুল্লাহ গ্রামের আজিজুল ইসলাম কুসুমের পুত্র মো. জুবায়োর মিয়া (১৫)। সে ঢাকার শনিরআখড়ায় একটি মুদির দোকানের কর্মচারী ছিল।

অপরদিকে কোটা আন্দোলন ও এক দফা দাবির আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

আহতরা হচ্ছেন- নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লি ইউপি’র কামালপুর গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র হাফেজ ইফতেখার তায়িফ (গুলিবিদ্ধ), মোয়াজ্জেমপুর ইউপি’র নয়নপুর গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র ফাজিল ৩য় বর্ষের ছাত্র হাফেজ আবু নাঈম (গুলিবিদ্ধ), মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র (ছাত্র) ফয়সাল আহমেদ (গুলিবিদ্ধ) ও লিটন মিয়ার পুত্র পিন্টু মিয়া (গুলিবিদ্ধ) আচারগাঁও ইউপি’র আমাদোবাদ কান্দাপাড়া গ্রামের হাদিছ মিয়ার পুত্র গার্মেন্ট শ্রমিক শামিম মিয়া (গুলিবিদ্ধ) ও আচারগাঁও বীরপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র তায়েফ (টিয়ারশেল), পৌরসভার ভূইয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা কলেজের ছাত্রী সাবিহা ইমনাত (লাঠিচার্জ) এবং মোয়াজ্জেমপুর ইউপি’র মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের আজিজুল ইসলাম বাবুর শিশু কন্যা তানিয়া জান্নাত তৃণা (টিয়ারশেল)।

ইএইচ