যশোরের অভয়নগরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এবার চাউলের বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পাশাপাশি তারা বাজার মনিটরিং শুরু করেছেন।
রোববার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের বিভিন্ন স্থানে চাউলের আড়ত ও মাছের আড়তগুলো মনিটরিংয়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যদি কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন। এতে কমছে পণ্যের দাম। নওয়াপাড়া নূরবাগ এলাকায় বিভিন্ন চাউলের আড়ত সহ বিভিন্ন দোকানে পর্যবেক্ষণ করে। তাদের কাছে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। দোকান গুলোতে গিয়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রয় রশীদ, চালান, খুচরা বাজারে বিক্রয়ের মূল্য তালিকা নাই। বাজারে চাউলের চাহিদা থাকা শর্তেও চাউলের সংকট করাসহ নানাবিধ বিষয়ে মনিটরিং করে তারা।
মনিটরিং চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষার্থী নূর আলম, ইমাম হোসেন, জিলানী হোসেন, মাসুম, আল আবির, শাহরিয়ার শিফাত, এনামুল হক, রাজিন রাফি, রাকিবুল ইসলাম লামিয়া মুনতাহা সহ অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
শিক্ষার্থীরা বলেন এই মনিটরিং কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতি থাকলে আগামীতেও আমাদের কাজ আরো বেগবান হবে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বাজার তদারকির কাজ পরিচালনা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্পা বলেন, নওয়াপাড়া বাজারে তদারকি করতে এসেছিলাম। বাজারে জিনিসপত্রের দামের তদারকি করেছি। দোকানে মূল্যতালিকা টাঙানোর অনুরোধ করেছি। বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে।
ইএইচ