বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুশয্যায় পাঞ্জা লড়ছে গাইবান্ধার কিশামত ফলিয়ার ফজলু মিয়ার ছেলে নীরব মিয়া (১৫)। সে বাগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে ছাত্ররা অবস্থান করে মিছিল দিতে থাকে। আনুমানিক দুপুর ২টার সময় পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছাত্র ভঙ্গ করতে গেলে রাবার বুলেটের আঘাতে শতাধিক ছাত্র আহত হয়। সেদিন নীরব মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
সেখানে বর্তমানে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নীরব।
তার বাবা মো. ফজলু মিয়া পেশায় একজন কৃষক। টাকার অভাবে আহত নীরব উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে নীরবের বাবা। জানান, ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা অসচ্ছল অভাব অনটনের সংসার থেকে বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
আন্দোলনে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অনেকের খোঁজখবর নিলেও এখন পর্যন্ত নীরবের খোঁজ খবর কেউ নিতে আসেনাই, ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। দুই ভাই বোনের মধ্যে একমাত্র ছেলে নীরবের এই অবস্থায় কথা বলতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নীরবের বাবা।
তিনি দেশের সরকার এবং ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার ছেলেটিকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার জন্য যেন সহযোগিতা করা আকুল আবেদন জানান।
চিকিৎসা সহযোগিতা পাঠানোর জন্য নিরবের একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে 01892512087 (নীরব)।
ইএইচ