যশোরে বৈষম্য ও ষড়যন্ত্রের শিকার প্রফেসর শফিকুল

যশোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম
যশোরে বৈষম্য ও ষড়যন্ত্রের শিকার প্রফেসর শফিকুল

নকলমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্য ষড়যন্ত্রের শিকার চৌগাছা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী অমিত বসুর রোষানলে পড়েন তিনি। আর এই ষড়যন্ত্রে যুক্তহন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। তারা সবাই এক হয়ে সুযোগ্য অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামকে চৌগাছা থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়।

এদিকে, সুষ্ঠু ও সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রফেসর শফিকুল ইসলামকে অবিলম্বে চৌগাছায় আনার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা ক্যাডারের ১৬তম বিসিএস’র কর্মকর্তা প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম প্রভাষক পদে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এম এম) কলেজে দর্শন বিভাগে যোগদান করেন। সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

চাকরি জীবনে যশোর এম এম কলেজ ছাড়াও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজ, এবং যশোর শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। এসব জায়গায় শিক্ষক হিসেবে অনেক সুখ্যাতি অর্জন করেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে প্রফেসর শফিকুল ইসলামকে সদ্য জাতীয়করণ চৌগাছা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ (সংযুক্ত) পদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন বলে পদায়ন করা হয়। ২০২৪ সালে চৌগাছা সরকারি কলেজে কর্মকালীন সময় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের তিনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

শুধু তাই নয়, ২০২৪ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে এ শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ রোভারসহ শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি পায়।

জানতে চাইলে চৌগাছা সরকারি কলেজের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর আব্দুল হামিদ, মারুফ হোসেন, ফিরোজ কবির ও কবিতা খাতুন বলেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুল ইসলামের সময়ে কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার পরিবেশ উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পায়। আর্থিক অনিয়ম শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলতা ফিরে আসে। কলেজ ক্যাম্পাস শৃঙ্খলা ফিরে আসে। এমন কি উপজেলা পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা গুলোতে যে সব অনিয়ম চলে আসছিল তা দূর করার জন্য অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তারা বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাও কর্মচারীদের যোগসাজশে চৌগাছা উপজেলায় পাবলিক পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোতে নকল প্রবণতা প্রচলন ছিল প্রফেসর শফিকুল ইসলাম তা দূর করেন। আর এতেই বাঁধ সাজেন উপজেলার কিছু বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও সাবেক আওয়ামী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রীর

ব্যক্তিগত সহকারী অমিত বসু। অমিত বসুর বাড়ি চৌগাছায়।

যোগাযোগ করা হলে প্রফেসর শফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী বছর (২০২৫) সালে আমার চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করবো। চাকরির শেষ জীবনে এসে আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমাকে অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আমাকে বদলি করেছেন। আমি আমার প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই।

ইএইচ