রংপুরে নানা দাবি নিয়ে মাঠে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দল

মিজানুর রহমান মিজান, রংপুর ব্যুরো প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
রংপুরে নানা দাবি নিয়ে মাঠে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দল

শোক দিবসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিসহ নানা দাবিতে বিএনপি, জামায়াত ও শিক্ষার্থীদের দখলে ছিল রংপুর।

চার দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি রংপুরে পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিল নিরুদ্দেশ।

এ সময়  সড়কে যোহরের নামাজ আদায় করতেও দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রংপুর টাউন হলের সামনে সারাদেশের ন্যায় সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচিতে স্লোগানে স্লোগানে নিহত শিক্ষার্থীদের বুকের তাজা রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না বলে, হাসিনাসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের দ্রুত বিচারের দাবি করা হয়।

একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ  করেছেন জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সকাল থেকে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ১২ টায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব মাহফুজ উননবী ডনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন   হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

অপরদিকে একই দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবি।

শোক দিবসের ছুটি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সে কারণে অন্যান্য দিনের মতো অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বীমা খোলা ছিল। অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ মানুষদের কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে। তবে শোক দিবস পালন না হওয়ায় অলস সময় পার করছেন ফুল বিক্রেতারা।

শোক দিবসকে ঘিরে নেই কোন ব্যস্ততা কিংবা বিক্রির টার্গেট। জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিবছর টার্গেট নিয়ে ফুলের মজুদ রাখা হয় এবার নেই। যেহেতু শোক দিবসের ছুটি বাতিল। আমরাও আইন কিংবা দেশের নিয়মের বাহিরে না অর্থনৈতিকভাবে যতই লোকসান হোক। তাই আমরা চাই এই একমাস ধরে যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি দেশে শৃঙ্খলা ফিরুক ব্যবসা যেন স্বাভাবিকভাবে করতে পারি এটাই চাওয়া।

ইএইচ