রাঙামাটিতে সন্ত্রাসবিরোধী দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি এঁকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
রাঙামাটিতে সন্ত্রাসবিরোধী দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি এঁকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

রাঙামাটিতে সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি শিক্ষার্থীরা পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র মুক্ত চাই, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি মুক্ত পাহাড় চাই নানা স্লোগানে ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ছবি দিয়ে সন্ত্রাস বিরোধী দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি এঁকেছে।

এছাড়াও পাহাড়ে শিক্ষাবৃত্তি, চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ক্ষেত্রে বাঙালি শিক্ষার্থীদসাথে নানাধরনের বৈষম্যের কথা দেয়ালে লিখে ও ছবি একে তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রাঙামাটি শহরের বনরুপার প্রধান সড়কের সিএনজি স্টেশন চত্বরে সন্ত্রাস ও বৈষম্য বিরোধী নানা ধরনের দেয়াল লিখন করেছে পাহাড়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সকালে ঘুরে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা দেয়ালে গ্রাফিতি ও প্রতিবাদী কণ্ঠে দেয়াল লিখনে রং তুলিতে মেতে উঠেছে। কেউ কেউ দেয়াল পরিষ্কার করছে আবার কেউ কেউ রং মিশানোর কাজ করতে।

এ প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব আজম বলেন, পাহাড়ে বাঙালিরা সকল দিকে বৈষম্যের শিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে উপজাতিরা কোটা পায় ৩২৫টি আর পাহাড়ের বাঙালিরা কোটা পায় মাত্র ৫৬টি তাও শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগে শতকরা ৮০ শতাংশ নিয়োগে উপজাতিরা পায়, আর বাঙালিরা মাত্র ২০ শতাংশ পায়। এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

পিসিএনপি প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, পাহাড়ে বাঙালিদের কান্না কেউ দেখা না কেন? বাঙালিদের জন্য কি মানবাধিকার নেই??

পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে প্রতিনিয়ত বাঙালিরা উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, বাঙালিদের ঘর বাড়ি ভাঙচুর করছে, বাঙালিদের বাগান কেটে দিচ্ছে, বাঙালিদের গাড়ি ও বোট পুড়িয়ে দিচ্ছে, Chaudhary কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।

পিসিসিপি কলেজ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য মুক্ত চাই পার্বত্য চট্টগ্রামে।

ইএইচ