অপশাসনের বদলা নৈরাজ্য হতে পারে না। ছাত্র জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের সুফল জনগণকে পেতে হবে। গণ-আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলের সকলকে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পথ পরিহার করতে হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খন্দকার আলী আব্বাসের ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকীর আলোচনা সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ কথা বলেন।
নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়কালে সাইফুল হক বলেন, ছাত্র জনতার ৩৬ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ও জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে আজ তরুণ প্রজন্ম নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। ফিরেছে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার।
তিনি বলেন, প্রয়াত আজীবন কমিউনিস্ট খন্দকার আলী আব্বাস শোষণ নিপীড়ন ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গেছেন। তরুণ সমাজ আজ সে পথ দেখিয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আলী আব্বাসের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।
সাইফুল হক বলেন, বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দমনপীড়ন, গুম খুন ও দখলবাজির রাজনীতি পরিহার করতে হবে। অনেক দলের উৎসাহী নেতাকর্মীরা আজ সে পথ অনুসরণ করছে। বাসস্ট্যান্ড, হাট বাজার ও মার্কেট দখলের নতুন কৌশল আটছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ছাত্র জনতার নতুন স্বপ্ন ও বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্য নস্যাৎ হবে। তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত দেশ বিনির্মাণ করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দেন।
এ সময় কমরেড খন্দকার আলী আব্বাস স্মৃতি সংসদের সচিব আজহারুল হকের সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন. নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আনসার আলী দুলাল, আকবর খান, ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল জলিল, গণসংহতি আন্দোলনের মিজানুর রহমান, সিপিবির আসলাম খান, গণঅধিকার পরিষদের নাসির উদ্দিন পল্লব প্রমুখ।
ইএইচ