আবারও ফেনীর দুই উপজেলার ৭০টি গ্রামের সাড়ে ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে জেলার বন্যা প্লাবিত ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে জেলার পরশুরাম উপজেলায় বন্যায় মহুরি নদীর বেড়িবাঁধের ১২ টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি এবং ভাঙনের স্থানসমূহ দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে আবারও স্থানীয় পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
এতে পরশুরাম পৌরসভার বাউরখুমা,বাউরপাথর, দুবলাচাদ, বিলোনিয়া, অনন্তপুর, বেড়াবাড়িয়া, কোলাপাড়া ও মির্জানগর ইউনিয়নের মির্জানগর, কালী কৃষ্ণনগর, কাশিনগর, ছয়ঘরিয়া, দক্ষিণ কাউতলী, চম্পক নগর, পূর্ব সাহেব নগর, জঙ্গলঘোনা ও গদানগর এলাকা এবং চিথলিয়া ইউনিয়নের চন্দনা, পালপাড়া,দক্ষিণ শালধর, উত্তর শালধর, কিসমত শালধর, মালীপাথর, পাগলীরকুল, কুন্ডেরপাড়, রাজষপুর, জংঙ্গলঘোনা, পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর,ধনীকুন্ডা, চিথলিয়া,রামপুর, দূর্গাপুর গ্রাম। একইসঙ্গে বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া,চারিগ্রাম,টেটেশ্বর,বাঘমারা,জমিয়ার গাঁও,কহুয়া,তালবাড়ীয়া গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৯হাজার ২০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের নিকট বর্তমানে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল রয়েছে।
অপরদিকে জেলার মুহুরী, সিলোনিয়া, কহুয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্থানীয় ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের, মুন্সিরহাট ও আমজাদহাট ইউনিয়নের অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪ হাজার ৩০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূইয়া এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মুহুরী, সিলোনিয়া নদীর বাধে নতুন করে কোন ফাটল না দেখা দিলেও পূর্বের ফাটল দিয়ে এবং বাধ উপচে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। বর্তমানে ফেনী বিলোনিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলগাজী এবং পরশুরাম অংশ প্লাবিত হওয়ায় কার্যত জেলা হেডকোয়ার্টারের সাথে সড়কপথে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বিআরইউ