প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর মহাসড়ক অবরোধ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর মহাসড়ক অবরোধ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ৫ ঘণ্টা কুষ্টিয়া-প্রাগপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে তাদের ধাওয়া করেন প্রধান শিক্ষকের লোকজন। এতে অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

এবিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মূলক কাজে গাফিলতি, নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, গেল সোমবার ১৭ দফা দাবি নিয়ে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি আবেদন করি। তার প্রেক্ষিতে আজকে প্রধান শিক্ষক বহিরাগতদের নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। তাই আমরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের অভিযোগে আজ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছে। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক, আমরাও তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি।

এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমার কাছে শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো নিয়ে এসেছিল আমিদের দাবিগুলো নিয়ে বসতে চেয়েছিলাম।

এসময় প্রধান শিক্ষকের কাছে তার পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মেনে নিব।

এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সফিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা শুনে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে এসেছি তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এবিষয় কথা বলবো।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিকেল ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলে তাদের ঘরে ফিরে যাবার অনুরোধ করেন।

এসময় প্রধান শিক্ষককে আগামী বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালনা কমিটির একটি জরুরি সভা ডেকে অব্যাহতি প্রদান করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিআরইউ