টানা ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে গেছে খাগাড়ছড়ির মাটিরাঙ্গার তাইন্দং, তবলছড়ি, বড়নাল, আমতলী ও গোমতি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বসতঘর। পাশাপাশি ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষের বসত ঘর। এমন পরিস্থিতিতে মাটিরাঙ্গার বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকাল থেকে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ জাহান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন ছাড়াও তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও তাইন্দং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামের ৩০০ বন্যা দুর্গত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বেলছড়ি, গোমতি ও আমতলী, বর্নাল, তবলছড়িও তাইন্দংয়ের বিভিন্ন গ্রামে দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
শুকনো খাবার বিতরণকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, বন্যাদুর্গত কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গত কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। সকলের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকারের ত্রাণ কার্যত্রুম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ইএইচ