শামা ওবায়েদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
শামা ওবায়েদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহীদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থক কবির ভূঁইয়াকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে আসামি করে মামলা করা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরকান্দা থানায় নিহত কবির ভূঁইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শামা ওবায়েদের নাম এক নম্বরে রাখা হয়েছে এবং তাকে এ মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

এছাড়াও মামলায় নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল ও তার ভাই মাসুদুর রহমানসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের নগরকান্দা থানা বিএনপি, নগরকান্দা থানা কৃষক দল, যুব দল, ছাত্র দলসহ নগরকান্দার জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নগরকান্দা পেট্রোল পাম্পের সামনে পথ সভার আয়োজন করা হয়। এই সংবাদ পেয়ে বিএনপির নেত্রী শামা ওবায়েদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ওই পথসভাকে পণ্ড করার জন্য তার পক্ষের লোকদের নির্দেশ দেয় এবং একই সঙ্গে আরও নির্দেশ দেয় যে, যা কিছু হোক, যেভাবেই হোক লোক মারতে হলে মরবে তবুও শহীদুলের পথ সভা করতে দেওয়া যাবে না। তাতে খুন জখমের মামলা মোকদ্দমা যাই হোক আমি দেখব। টাকা পয়সা যত লাগে আমি দেব।

মামলায় আরও বলা হয়, শামা ওবায়েদের এই নির্দেশ পাওয়ার পর অন্যান্য জায়গার মত নগরকান্দা বেইলি সেতুর পশ্চিম পাড়ে মিনার গ্রামের রাস্তা দিয়ে আমার স্বামী বাড়ি থেকে নগরকান্দা বাজারে যাওয়ার সময় একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরকান্দা বেইলি সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে মিনারগ্রাম ভ্যানস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার ওপর পৌঁছানো মাত্রই আসামিরা বলে, ওকে মারধর করে খুন কর, শামা আপা হুমুক দিয়েছে। শহীদুল ইসলাম বাবুলের লোকদের যাকে যেখানে পাবি তাকেই খুন করবি। এরপর আসামিরা ১৮ ইঞ্চি ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমার স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করে।

এ ব্যাপারে শামা ওবায়েদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে ফরিদপুরে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে শামা ওবায়েদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন বলেন, শামা ওবায়েদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দাগ লাগানোর জন্য তার নাম জড়ানো হয়েছে। ঘটনার দিন তিনি তো বাড়িতেই ছিলেন না। নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই প্রমাণ হবে তিনি এতে জড়িত নন।

এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহতের স্ত্রী মোনজিলার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইএইচ