সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মামুনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই গ্রামে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার আসাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিল মেম্বরের ছেলে।
ঘটনাস্থলে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, ওই গ্রামে ওহাব-গোলাপ গ্রুপের সঙ্গে ইউপি সদস্য মামুন-ইয়াহিয়া গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকতো। কয়েকদিন আগে ওহাব গ্রুপের কলিমুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মামুন গ্রুপের লোকজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল থেকে দুই গ্রুপ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে শনিবার প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য মামুনের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের প্রায় ২০-২৫ জন আহত হয়।
গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান বলেন, এই সংঘর্ষ গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এখানে কোন রাজনৈতিক ইস্যু নেই। দুই গ্রুপের মধ্যে সব দলের লোকজন আছে।
ইএইচ