নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পল্লী বিদ্যুতের দুই লাইনম্যাসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান মো. জাকির হোসেন (২৮) ও মো. ইব্রাহিম (২২) এবং বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির আহমেদ (১৭)।
সাব্বির উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মো. সালাউদ্দিনের ছেলে। লাইনম্যান মো. জাকির হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা এবং মো. ইব্রাহিম চট্রগ্রামের বাসিন্দা ছিল।
সোমবার সকালে ও দুপুরের দিকে উপজেলার আমিন বাজার এলাকা ও মীরওয়ারিশপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, লাইনম্যান জাকির সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আমিনবাজার এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ করতে যায়। ওই সময় পানিতে পড়ে থাকা ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান।
অপরদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে একই উপজেলার মীরওয়ারিশপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু করতে যায় লাইনম্যান মো. ইব্রাহিম। সেখানে তিনি অবসাধনতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। গত কয়েক দিন ধরে ইনস্টিটিউটে আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থী সাব্বির। তার বসতঘরের মালামাল বন্যার পানিতে নষ্ট হওয়ার খবর পেয়ে সোমবার সকালে বাড়িতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘরের মালামাল সরানার সময় মাল্টিপ্লাগের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (ওএন্ডএম) মো. মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, বন্যার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবস্টেশন আগে থেকেই বন্ধ। সোমবার সকালের দিকে বেশ কয়েকজন গ্রাহক অফিসে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে খুবই দুর্ব্যহার করে। পরে দুপুরের দিকে বন্যার লাইন পরীক্ষা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই লাইনম্যান ঘটনাস্থলে মারা যান।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, একজন লাইনম্যান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। অপর নিহতদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
ইএইচ