কক্সবাজারের পেকুয়ায় সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখল বেদখলের আধিপত্য নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শহিদুল ইসলাম ওরফে শওকত (৩৮) নামের এক শ্রমিকদল নেতা নিহত হয়েছেন।
এ সময় তার ভাই মো. শাকের (২৮) ও চাচাতো ভাই মো. তারেক (২৪) আহত হন। শওকত পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শওকত।
আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শওকত।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে স্লুইসগেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ভোলাইয়াঘোনা রাস্তার মাথায় সাজ্জাদুল ইসলামের এক চাচাতো ভাইকে মারধর করেন শওকত। এই ঘটনার জের ধরে সাজ্জাদুল ইসলাম ও বদিউল আলমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোকজন দলবদ্ধ হয়ে শওকতের ওপর আক্রমণ করেন। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে সাকের ও তারেক গুরুতর আহত হন।
পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, শ্রমিক সংগঠন নিয়ে কোন ধরনের বিরোধ নেই। সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। ওসমানের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। হামলার কথা শুনে আমি আর ওসমান দুজনে একসঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, হামলার কথা শুনার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত, কেন খুন হলো সবই তথ্য সংগ্রহ করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ