সাতক্ষীরায় বিএনপি কর্মী হুমায়ুন কবিরকে হত্যার অভিযোগে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিশ, জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল লতিফ এবং তৎকালীন সদর থানার পরিদর্শক শেখ সেকেন্দার আলী।
বর্তমানে শেখ সেকেন্দার আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাতক্ষীরা আমলি ১ নম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলী। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি আমলে নিয়ে তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর এই মামলা দায়ের করা হলো।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বিএনপি কর্মী হুমায়ুন কবিরকে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে আসেন তৎকালীন পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। পরে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রী চম্পা খাতুনের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চম্পা খাতুন পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে দিলেও বাকি টাকা না দেওয়ায়, হুমায়ুন কবিরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে পিপি আব্দুল লতিফও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আ ক ম ছামছুরজোহা মামলাটি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, মামলার অন্যতম আসামি সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, কেউ মামলা করলে কী বলার আছে। আমার ভূমিকা সাতক্ষীরার মানুষ জানে। আমি সাতক্ষীরার মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি।
অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম এবং কুচপুকুর, বালিয়াডাঙ্গা ও দেবনগর গ্রামের আরো কয়েকজন ব্যক্তি।
বিআরইউ