টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে দ্বিতীয়বারের মত আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অনশনে বসেছেন সেই কলেজছাত্রী।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি লাল মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উৎসুক জনতার ভিড় আ.লীগ নেতার বাড়িতে।
জানা যায়, দীর্ঘদিনের প্রেম এবং বিয়ের প্রলোভনে অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে গত ২৩ জুলাই সকালে বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী।
এ সময় লাল মিয়ার স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দেন। স্থানীয়দের চাপে লাল মিয়া ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে মোটরসাইকেল যোগে বের হয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে রেখে লাল মিয়া পালিয়ে যান।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে লাল মিয়া ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী চিতেশ্বরী গ্রামে ঘুরতে যায়। তাদের আপত্তিকর চলাফেরা স্থানীয়দের চোখে পরলে অন্তত ২ থেকে ৩শ লোক তাদের ঘিরে ধরে। লাল মিয়ার পরিবারের লোকজন সেখান থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
শনিবার সকালে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে সালিশ বসে। সেখানে লাল মিয়া এবং কলেজছাত্রীর ভিন্নধর্মী বক্তব্যে এর সুরাহা
ছাড়াই সালিশ শেষ হয়। বিকেল বেলা ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়। এসময় লাল মিয়া কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান মো. হেলাল দেওয়ানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে ইউপি কার্যালয়ে তাদের ব্যাপারে সালিশ বসে। উভয়ের ভিন্নধর্মী বক্তব্যের কারণে সালিশ শেষ করা সম্ভব হয়নি। বিয়ের দাবিতে বাড়িতে অবস্থান লাল মিয়ার কৌশলও হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিআরইউ