মাগুরা সদর থানার ওসি মেহেদী রাসেলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিতে নবাগত জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন মাগুরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ ছাএছাএীরা।
মাগুরার সাধারণ শিক্ষার্থীর ‘দুই দফা দাবি’ উল্লেখ করে লিখিতভাবে তারা জানান, মাগুরা সদর থানার ওসি মেহেদি রাসেলের হাত ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত। আওয়ামী দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আটকৃত ছাত্রদের পুলিশ হেফাজতে টর্চারিং এর নির্দেশদাতা ওসি মেহেদি রাসেলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া মাগুরায় গত চার ও পাঁচ তারিখে আওয়ামী সন্ত্রাস কর্তৃক দুটি হত্যাযজ্ঞের ঘটনার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ বাদী মামলা করতে হবে। এবং আসামিদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
এ সময় মাগুরা জেলা নবাগত পুলিশ সুপারের রুমে উপস্থিত ছিলেন, হাবিব খন্দকার, হাবিববুল হাসান অনিক, সিয়াম হোসেন, সাইম আহমেদ, সানজিদ আহমেদ, তিতাস আলী, আল জিহাদ, সাদিকুর রহমান, মাহির, মতিন, নাঈম, মেঘলা, মুনিয়া, ফয়সাল, ইজাজ, আরমান, শাওন, রেজওয়ান, খালিদ, সোয়ান, সাব্বির, আশফাকুর সহ অনেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।
আজ মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাগুরার সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। এ সময় মাগুরা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা,বিপিএম বলেন,আমি আপনাদের জেলাতে নতুন এসেছি,আপনাদের স্মারকলিপি পেলাম। আমি পুলিশ মহলের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব,আমি দেশকে ভালোবাসি দেশের ভালোর জন্য,যা,যা, প্রয়োজনে করা লাগে সেগুলো আমি করব। তিনি আরো বলেন, ২৪ ঘণ্টা এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে সম্ভব।
এ সময় ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাগুরার সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি প্রদানের পরে চৌরঙ্গি মোড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাগুরা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা।
বিআরইউ