ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে ৯২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জরুরি কাগজপত্র। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার সদর উপজেলার ছনুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় বন্যা পরবর্তী বেহাল দশা রয়েছে। বন্যার পানিতে দ্বিতল ভবনের একতলা ডুবে যাওয়ায় আলমিরাসহ দাপ্তরিক কাগজপত্রাদির অধিকাংশই পানিতে পঁচে যায়।
এক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কাগজপত্র নষ্ট হওয়ায় মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ৬৮ জন দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাগজপত্রও নষ্ট হয়। বিগত সময়ের দাখিল, জেডিসি ও সমাপনী পরীক্ষার সনদসহ যাবতীয় কাগজপত্রও নষ্ট হয়ে যায়।
মাদরাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২১ আগস্ট হু হু করে বন্যার পানি বাড়ে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মঙ্গলবার তিনি মাদরাসায় গিয়ে দ্বিতল ভবনের নিচতলার অফিস কক্ষে ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য দেখতে পান। কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর সহায়তায় আলমারিতে সংরক্ষণে থাকা কিছু জরুরি কাগজপত্র দোতলায় তুলতে সক্ষম হলেও বিল-ভাউচার ও অধিকাংশ কাগজপত্র চোখের সামনে নষ্ট হতে দেখেন।
তার দাবি, চেয়ার-টেবিল, টিনশেড ঘর, কম্পিউটার, গ্রন্থাগারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা।
সিনিয়র শিক্ষক মো. নেছার উদ্দীন জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তারা মাদরাসায় যান। সেখানে মাদরাসায় থাকা তাদের এমপিওভুক্তিসহ জরুরি কাগজপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হতে দেখেন। এ ঘটনায় মাদরাসায় পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে গত ২০ আগস্ট থেকে জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজসহ ৯২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এর মধ্যে, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৫৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৩টি, মাদরাসা ১২৮টি, কলেজ ৩০টি, কারিগরি, ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ইএইচ