নাটোরের থানায় ৯৫টি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৮৯টি অস্ত্র জমা

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
নাটোরের থানায় ৯৫টি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৮৯টি অস্ত্র জমা

নাটোরের ৭টি থানায় ৯৫টি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৮৯টি অস্ত্র জমা পরেছে বলে জানা গেছে। আরও ৬টি অস্ত্র এখনও জমা পরেনি।

জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে লাইসেন্স করা সব অস্ত্র আর গোলাবারুদ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সে মোতাবেক ৯৫টি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে নাটোরের ৭ থানায় জমা পড়ে ৮৯ টি অস্ত্র।

কিন্তু ৬টি অস্ত্র জমা পড়েনি। জমা না দেওয়া ঐ ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের স্বত্বাধিকারীর সকলেই আওয়ামী লীগ নেতা।

এর মধ্যে নাটোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে লাইসেন্স করা দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের দুইটি, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের একটি ও ঠিকাদার আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্সকৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি।

এর মধ্যে, গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের স্টেশন কারবালা মোড় থেকে ১১ রাউন্ড গুলিসহ আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্স করা অপর একটি পিস্তল উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার আগে ৮৯টি লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। এখন পর্যন্ত ছয়টি লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা পড়েনি। এর ভেতর জুনাইদ আহমেদ পলকের দুইটি ও শফিকুল ইসলাম শিমুলের দুইটিসহ মোট ছয়টি অস্ত্র আছে।

নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মাছুদুর রহমান বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য সভা করা হয়েছে। অভিযানে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা থাকবেন। জেলার লাইসেন্স করা অধিকাংশ অস্ত্রই থানায় জমা পড়েছে। যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি সেগুলোর উদ্ধারে যৌথ বাহিনী মাঠে কাজ করছে।

ইএইচ