রেস্টুরেন্টে বাকি খেয়ে টাকা না দিয়ে পালিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান।
বিল চাইলে চড়াও হতেন রেস্টুরেন্টের মালিক ও স্টাফদের উপর। বিল চাওয়ার সাহস না থাকায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ শুধু বাকির খাতায় হিসেব লিখে রাখতো।
ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিল ও সহ-সভাপতি মামুন শাহ সহ ছাত্রলীগের নেতারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দোকান মালিকদের।
বিভিন্ন দোকানে ও রেস্টুরেন্টে খেয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাতেন ও বাকি টাকা ফেরত চাইলে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে দোকান ভাঙচুর ও বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতেন বলেও অভিযোগ তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল হোসেন জানান, গত রমজানে ইফতার মাহফিলের জন্য তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন খলিলুর রহমান। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া রেস্টুরেন্টে খলিলুর রহমান ও তার সহযোগীরা বাকি খেতেন, কিন্তু কখনো বিল পরিশোধ করতেন না। টাকা চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগেও ছাত্র আন্দোলনের সময় রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে খাবারে তেলাপোকা পাওয়া গেছে অভিযোগ এনে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। পরে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে, না দিলে ভোক্তা অধিকারে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে খলিল মুঠোফোনে ৫ হাজার টাকা দিতে বললে বাধ্য হয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছি। টাকার জন্য অনেক হেনস্তা করতো খলিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন `সবুজ বাংলা` রেস্টুরেন্টেও ৯ হাজার ৬০০ টাকা বাকি খেয়েছেন সভাপতি, সরকার পতনের পর খলিল লাপাত্তা হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক।
এসবের ভিডিও আছে বলেও জানান আবুল হোসেন। তিনি আরও বলেন, আমি এখন এসব টাকা ফেরত চাই কিন্তু খলিলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে জানতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানকে বারবার ফোন দিলে মুঠোফোন বন্ধ দেখায়।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় পেছনের ফটক দিয়ে সাদা মাইক্রোবাসে টিলারগাঁও এলাকা দিয়ে পালিয়ে যান সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
ইএইচ