জয়পুরহাটে আবাসিক মাদরাসার ৫ ছাত্রী নিখোঁজ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
জয়পুরহাটে আবাসিক মাদরাসার ৫ ছাত্রী নিখোঁজ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার চাকলমুয়া সহি সুন্না বালিকা মাদরাসার আবাসিকের পাঁচজন ছাত্রীর খোঁজ পাচ্ছে না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় শুক্রবার মাদরাসার পরিচালক মো. ফিরোজ আলম বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজন শিক্ষার্থীর পরিবারসহ সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

থানায় সাধারণ ডায়েরি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদরাসার আবাসিকে ৫৫ জন ছাত্রী রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পড়াশোনা শেষে খাওয়া-দাওয়া করে আবাসিকের শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পড়ে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার ভোরে শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে উঠিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে। ফজরের নামাজ পর আবাসিকের কেয়ারটেকার মোছা. মঞ্জুয়ারা বিবি তার রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। এ সময়ের মধ্যে মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেনের মেয়েসহ পাঁচজন শিক্ষার্থী বাহিরে গিয়ে আর মাদরাসায় ফিরেনি।

পরে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ অন্য চার শিক্ষার্থীর বাসায় খোঁজ নেন। তারা কেউই বাসায় যায়নি। নিখোঁজ পাঁচ শিক্ষার্থীর সবার বয়স ১০ থেকে ১৩ বছর। এদের মধ্যে তিন জন শিক্ষার্থীর ট্রাঙ্ক খুলে ভেতরে একটি করে চিরকুট পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ এই পাঁচ শিক্ষার্থীর কারও খোঁজ মেলেনি।

নিখোঁজ এক ছাত্রীর চাচাতো ভাই শামীম হোসেন বলেন, আমার চাচাতো বোন মাদরাসায় পড়ত। সে হঠাৎ করেই মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছ। এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।

নিখোঁজ এক ছাত্রীর ভাই হৃদয় হাসান বলেন, এই মাদরাসায় কোন নিরাপত্তা নেই সেটি আমরা জানতাম না। আজকে সকালে মাদরাসা থেকে আমাকে ফোন করে আমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আমার বোনসহ পাঁচজন আজকেই চলে গেছে নাকি আগে চলে গেছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এছাড়া তিন জনের ট্রাঙ্কের ভেতর চিরকুট পাওয়া গেছে বলে সেটিও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ লেখে রেখেছে বলে সন্দেহ করছি।

মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী মোছা. কামরন্নাহার সিমু প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার ভোরে মাদরসার আবাসিকের পাঁচ শিক্ষার্থীর খোঁজ পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে। এরমধ্যে আমার মেয়েও রয়েছে। মাদরাসায় গিয়ে নিখোঁজ পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনের ট্রাঙ্কে চিররকুট পেয়েছি।  তিনটি চিরকুটে লেখা প্রায় অভিন্ন। একজন লিখেছে, প্রিয় মা-বাবা তোমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না। একারণে চলে যাচ্ছি। আমরা আবার ফিরে আসব।

পাঁচ শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমরা এখনো পাঁচ জনের কারও খোঁজ পাইনি।

এ বিষয়ে কালাই থানায় এসআই (নিরস্ত্র) মো. তোফায়েল হাসান মুঠোফোনে জানান, কালাই উপজেলার চাকলমুয়া সহি সুন্না বালিকা মাদরাসার আবাসিক থেকে পাঁচ জন ছাত্রীর খোঁজ পাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা কোথায় আছে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

ইএইচ