বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবকে পুঁজি করে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব শুরু করেছে। তাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই বাংলাদেশের যে অপরাজনীতি চাঁদাবাজিসহ যত অন্যায় অপরাধ আছে সেটা ৫ আগস্টে শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা যদি বাংলাদেশে রাজনীতি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টদের মতো রাজনীতি চলবে না নিজেদের সংশোধন করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, যারা বিভিন্ন জায়গায় দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি করেছেন জেলায় জেলায় সম্মেলন করে দখলদারদের নাম ঘোষাণা করা হবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করা হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যারা বিপ্লব সংগঠিত সেই ছাত্র জনতাই রাষ্ট্র গঠন করবে। সেই লক্ষ নিয়ে ছাত্র জনতা কি চাচ্ছে রাষ্ট্র পুনঃগঠনে তাদের দাবিগুলো আমরা শুনছি ও লিখে নিয়ে যাচ্ছি। এরপর ঢাকায় একটি বড় সম্মেলন করে রাষ্ট্র পুনঃগঠনের রূপরেখা প্রদান করা হবে। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের উপজেলা ওয়ার্ড পর্যন্ত কমিটি ছিল ফলে সবাইকে সমন্বয় করা হয়েছে। কিন্তু ২৪ এর বিপ্লবটি যে যেখানে পেরেছে সমন্বয় করে টিম করে কাজ করেছে। আমরা জেলা উপজেলা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি। সবার সাথে কথা বলে আমরা একটা অথরাইজ কমিটি গঠন করে দিব। সেই কমিটির মাধ্যমে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবো। প্রশাসনকে বলা আছে কেউ যদি সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কোন অন্যায়ি কাজ করে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কোন ছাড় নেই।
এর আগে বরিশালের বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
এ সময় শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন।
সভায় শিক্ষকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি, এম এ সাইদ, রাইয়ান ফেরদৌস, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, হাসিবুল হোসাইন শান্ত, মোবাশ্বেরা করিম মিমি, শহিদুল ইসলাম শাহেদ, তৌহিদ আহমেদ আশিক, জিহাদ হোসেন।
ইএইচ