কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিনে প্রখর রোদ, তীব্র দাবদাহ। রাতে ভ্যাপসা গরম। সঙ্গে দুর্বিষহ মাত্রায় বেড়েছে লোডশেডিং। সবমিলিয়ে পৌর এলাকার ও গ্রামে জনজীবন অতিষ্ঠ।
দিনে রাতে ২০-২২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
পাকুন্দিয়া পৌর সভায় ৮নং ওয়ার্ডের নামা লক্ষিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার মতো বয়স্ক মানুষের পক্ষে তীব্র গরমে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধে সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
পাকুন্দিয়া পৌরসভায় ৬নং নং ওয়ার্ড চর লক্ষিয়া গ্রামের বাসিন্দা সবুর মিয়া বলেন, শহরের চেয়ে তো গ্রামে আরও বেশি সমস্যা। গ্রামে কারেন্ট গেলেই মনে হয় আর আসার খবর নাই। এত বেশি গরম তার মধ্যে দিন ও রাতের বেশির ভাই সময়ই লোডশেডিং হচ্ছে।
পাকুন্দিয়া পৌর বাজার ডিশ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বিদ্যুৎ বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকে না বিদ্যু। বর্তমানে দিনে-রাতে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। বিদ্যুৎ না থাকাতে ভ্যাপসা গরমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকাও যায় না।
পাকুন্দিয়া জোনাল অফিস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল্লাহজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৮ হতে ১০ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
ইএইচ