মাটিরাঙ্গায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
মাটিরাঙ্গায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে তাইন্দং বাজারে গিয়ে সমাবেশ করে।

এ সময় বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে শামিল হয় সাবেক শিক্ষার্থীরা।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত টাকা আদায়, এক প্রশ্ন দিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া, স্বেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়ের কমিটি না করা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ আঁকড়ে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ইরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেন মো. রেজাউল করিম সরকার। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিনা রশিদে অর্থ আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাৎ, অনিয়মসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেন তিনি।

সাবেক শিক্ষার্থী মো. শাহিন আলম জানান, মো. রেজাউল করিম সরকার নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে এক দশকের বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়ের নিয়মিত কমিটি না করা, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অভিভাবকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন।

তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মাকসুদুর রহমান বলেন, দীর্ঘ বছরেও বিদ্যালয়ে নিয়মিত কমিটি না করে নিজের একক আধিপত্য কায়েম করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম সরকার। তার কাছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত হওয়া নিয়ম ছিল। কোন কাজেই শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজন মনে করতে না।

তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম সরকার স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় একাধিক বার মোবাইল ফোনে কল করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব‌্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. শরীফুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোন অনিয়ম থাকলে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে  ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ