আমন চাষে ব্যস্ত তাড়াইলের কৃষকরা

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০১:৪১ পিএম
আমন চাষে ব্যস্ত তাড়াইলের কৃষকরা

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে জমিতে আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা এখন ব্যস্ত আমন ধানের চারা রোপণ করতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড ৫০০ হেক্টর, উফশী ৭ হাজার ২০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩০ হেক্টর জমিতে।

তবে আমন চাষে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভাদ্র মাসে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন চাষে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। কারণ আমন ধানের চারার বয়স বেশি হলে সেই চারা রোপণে ভালো ফলন পাওয়া যায় না। সময় মতো আমন ধানের চারা রোপণ করার স্বার্থে বৃষ্টির পানি না থাকলেও গভীর নলকূপের সাহায্যে সেচ প্রদানের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা।

সরজমিন দেখা যায়, তাড়াইল উপজেলার কৃষকেরা আমনের জমি তৈরি, চারা উত্তোলন ও চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সসয় কাটাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আমনের চারা রোপণের কাজ। 

ইতোমধ্যেই ৪০ ভাগ জমির আমন রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই অবশিষ্ট জমির চারা রোপণের কাজ শেষ হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। এবার আমন মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হওয়ায় আমনের জমিতে পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল কৃষকরা। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গভীর-অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চারা রোপণের কাজ করতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে সেচ বাবদ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের কৃষক উসমান গনি, খায়রুল ইসলাম, আছাবগনি ও আবুল হাসেম বলেন, ঠিক সময় বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের চারা রোপণ করতে এবার পিছিয়ে পরেছি। সেচের পানি দিয়ে ধান লাগালাম কিন্তু এতে অনেক খরচ হবে। এবার ফলন এবং দাম ভালো পেলেই আমরা খুশি।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা আমার সংবাদকে জানান, এ বছর বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু এলাকার কৃষকদের বীজতলার চারা নষ্ট হয়েছে। যার জন্য চাষাবাদেও একটু দেরি হচ্ছে। আশা করছি, কৃষকরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং তারা আমাদের আমন আবাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করবেন। এজন্য আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে মাঠে নিয়মিত কাজ করছেন।

বিআরইউ