প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মামুন মিয়া, মানিকগঞ্জ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম করে নিজের নিয়োগ ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে এমপিও ভুক্তির তারিখ থেকে ন্যূনতম ১২ বছরের যোগ্যতা লাগে। শিল্পী আক্তার এমপিওভুক্ত হয় ১ নভেম্বর ২০১০ সালে।

তার স্বামী সায়েদুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি এমপিও ভুক্তির তারিখ হতে মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৬ জুন ২০১৩ সালে তিনি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পরই কাশেম আলী নামের এক সহকারী শিক্ষকের নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে তার বেতনের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করছে।

আবার তিনি তার স্বামীর প্রভাব খাঁটিয়ে নানা রকম মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে জাল জালিয়াতি করে প্রতিবছর ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও স্থগিত করে। তারপর তিনি তার স্বামীকে এডহক কমিটির সভাপতি বানিয়ে বিদ্যালয়ের যাবতীয় আয়ব্যয় গোপন করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

এরপর তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সেশন ফি, ভর্তি ফি, সরকারি বরাদ্দকৃত বিজ্ঞানাগারের মালামাল ক্রয়ে  এবং সকল অনুদানের লাখ লাখ টাকা তিনি ও তার স্বামী আত্মসাৎ করেন।

তিনি সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের চার লাখ টাকার আটটি বড় মেহগনি গাছ কেটে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। আবার ওই বিদ্যালয়ের দুইশত পুরাতন বেঞ্চ বিক্রয় করে স্কুল ফান্ডে টাকা জমা না করে নিজেরাই আত্মসাৎ করে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি এমপিওভুক্তির তিন বছরের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন স্বীকার করে বলেন, আমাকে নিয়োগ দিয়েছে আগের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির খান। আমাদের নিয়োগের বিষয় নিয়ে ১০ জনের নামে দাতা সদস্য নবুয়াত মামলা দিয়েছে।

সহকারী শিক্ষক কাশেমের বেতন আত্মসাতের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে চিনি না এই বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ