ফটিকছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান লাপাত্তা, কার্যক্রম স্থবির

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
ফটিকছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান লাপাত্তা, কার্যক্রম স্থবির

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনও লাপাত্তা। তারা অফিস করছেন না, পরিষদের প্রশাসনিক কাজকর্মে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।

এর আগে উপজেলার দুই পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করেছে সরকার। তাদের জায়গায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিনকে ফটিকছড়ি পৌরসভায় ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) মো. আবু রায়হানকে নাজিরহাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকজন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হলেও পরিষদের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

আত্মগোপনে থাকা ৬ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন- বাগানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সাজু,দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম,নারায়ণহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ, সুন্দরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ও সুয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন,কাঞ্চন নগর ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম।

তাদের পাশাপাশি অনেক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এমনকি নারী সদস্যও আত্মগোপনে আছেন।

অনেকে মামলার আসামি হয়েছেন। আবার অনেকেই মামলা হামলার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রকাশ্যে আসছে না এদের কেউই। ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও আছেন এ তালিকায়।

দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘চাকরির আবেদনের জন্য চেয়ারম্যান সনদ নিতে তিনদিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সনদ নিতে পারছি না। সনদ না পেলে আমার চাকরির আবেদন করা হবে না।

বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকার আবদুল মজিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ছাড়া ছাত্রাবাসে সিট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারছি না। এ কাজে কয়েক দিন পরিষদে এসেছি। প্রতিদিন যাতায়াতে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব অঞ্জন চৌধুরী বলেন— জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক নিয়োগ দেওয়া হলেও জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যয়নপত্র সহ অন্য অফিসিয়াল কাজ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত, তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু ইউনিয়নে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অফিসার নিয়োগ দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করছি আমরা।

বিআরইউ