৫০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি মাদ্রাসা, মানবেতর জীবন শিক্ষক-কর্মচারীদের

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
৫০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি মাদ্রাসা, মানবেতর জীবন শিক্ষক-কর্মচারীদের

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পেরোলেও এমপিওভুক্ত হয়নি জয়ন্তিপুর দাখিল মাদরাসার। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতন জোটেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের। বেতন ছাড়াই অবসরে গেছেন অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। আবার নতুন শিক্ষক যোগদানও করেছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। তবে আজঅব্দী মেলেনি বেতন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বর্তমানে কর্মরত ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তিপুরে স্থাপিত হয় জয়ন্তিপুর দাখিল মাদরাসাটি। প্রথমে এটি ফুরকানিয়া মাদ্রাসা হিসেবে ও পরে ইবতেদায়ী এবং সবশেষে দাখিল মাদরাসায় উন্নীত হয়। শর্তপূরনের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি, আসবাবপত্র ও নিয়মিত পাঠদান প্রক্রিয়া চালু থাকলেও বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দিতে হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। সবশেষ দু দফা এমপিওভুক্তির তালিকায় তাদের নাম আসেনি।

প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ মুদি দোকান, টিউশনি করে বা বিকল্প উপায়ে সংসার চালাচ্ছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় একটি সরকারি কলেজ ও একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে ৮টি মাদ্রাসা, ৪৩টি মাধ্যমিক ও ১৪টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গভাবে, কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ স্তর এবং কিছু প্রতিষ্ঠান হাইস্কুল থেকে কলেজে উন্নীত করে এমপিও ভুক্তির অপেক্ষা করছে।

জয়ন্তিপুর দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেডেন্ট রবিউল ইসলাম বলেন, অর্ধ শত বছর পূর্বে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে অনেক শিক্ষক অবসরে গেছেন। তাঁরা সারা জীবন বিনা পয়সায় শ্রম দিয়ে খালি হাতে বিদায় নিয়েছেন। একদিন এমপিওভুক্ত হবে এ আশায় বারবারই নতুনভাবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বপালন করেছেন। কিন্তু তাদের কেউ বেতন পান না।

তিনি আরও বলেন, বেতন না পেয়ে চাকরি করছি বলে নিজেকে অন্যের কাছে উপস্থাপন করাও লজ্জার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিআরইউ