ফেনীতে বিজিবির চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযানে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা মূলের ভারতীয় চিনি, শাড়ি কাপড় এবং ওষুধ আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ১৭ ঘণ্টায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলার ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা থেকে এসব চোরাই পণ্যগুলো আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি কাপড় পাচার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এমন গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির স্থানীয় ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক টহল দল নিয়ে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কৌশলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনৈক প্রবীণ লোককে সাথে নিয়ে সেখানকার খায়রুল নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পরিত্যক্ত ঘর তল্লাশি করে।
এ সময় ৫ হাজার ৮৯০ কেজি চিনি এবং ১৮ বস্তা শাড়ি কাপড় এবং বাগানের মধ্য থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৮ বস্তাসহ মোট ৪৬ বস্তা শাড়ি কাপড় উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক মূল্যা ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫শত টাকা।
এ ছাড়া একইদিন ভোরে জেলার পরশুরাম উপজেলার সুবারবাজার বিওপির নিয়মিত টহল দল সীমান্ত পিলার হতে আনুমানিক ৯০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুলাতুলী নামক স্থান হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ১ হাজার ৪ শত ২০ কৌটা HEALTH FIT ওষুধ এবং ৫ শত ৩০ কৌটা GOOD HEALTH আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭লক্ষ ৭হাজার ৩শত টাকা ।
এবং তারাকুচা বিওপির নিয়মিত টহল দল সীমান্ত পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুলগাজী উপজেলার ফেনা পস্কুরুনী নামক স্থান হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ২ বস্তা ভারতীয় শাড়ি আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
পাশাপাশি গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে মধুগ্রাম বিওপি চোরাচালান প্রতিরোধ টহল পরিচালনা করে সীমান্ত পিলার হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছাগলনাইয়া থানাধীন সেক্রেটারি বাগান নামক স্থান হতে ০৪ বস্তা ভারতীয় শাড়ি আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্যা ২০ লক্ষ ২ হাজার টাকা।
ফেনীস্থ-৪ বিজিবির আর্টিলারি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে তাদের আভিযানিক কর্মকাণ্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত সবগুলো চোরাই মালামাল স্থানীয় শুল্ক অফিসে জমা করা হয়েছে।
ইএইচ