ফেনীতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ৮৬ হাজার ৪০০ জন গ্রাহকের মধ্যে ৩১ হাজার ৬০০ জনের কাছেই প্রায় সাড়ে ১২ কোটি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি এসব গ্রাহকের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ফেনী পৌরসভা ও ফেনী জেনারেল হাসপাতাল এবং পুলিশ বিভাগের কাছে। এদের বকেয়া ৭০, ৭৩ এবং ৬২ লাখ টাকা।
বিপিডিবি ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সম্প্রতি পুলিশ বিভাগ ও রেলওয়ে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।
এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৫ লাখ টাকা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ৩ লাখ টাকা, গণপূর্ত বিভাগের ২ লাখ টাকা ও ফেনী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের ২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফেনীর বিসিকে নিশাদ স্টিল মিলের কাছে ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ২১৪ টাকা, মডার্ন কোল্ড স্টোরের কাছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও কোয়ালিটি জুট মিলের কাছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় প্রিপেইড গ্রাহকের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩৮৯ ও পোস্টপেইড গ্রাহকের সংখ্যা ২৮ হাজার ১১ জন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া বিল আদায়ে মাইকিং ও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বেশিরভাগ গ্রাহক বিল পরিশোধ করেননি।
এসব বকেয়া বিল আদায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও ২০০ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ফেনী পৌরসভার সচিব আবু জর গিফারী বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
তবে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. হিরণ দাবি করেন, পৌরসভার বকেয়া বিল ৭০ লাখ টাকা নয় ৬০ লাখ টাকা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
বিপিডিবি ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, শিগগিরই সব প্রতিষ্ঠানকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। এতে ভুল, অতিরিক্ত বা ভৌতিক বিলের কোনো সম্ভাবনাও থাকবে না। ইতোমধ্যে মহিপাল ট্রমা সেন্টার ও গণপূর্ত বিভাগের কিছু অংশসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার লাগানো হয়েছে। এতে করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল আর বকেয়া থাকবে না।
ইএইচ