রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১জনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
অন্যদিকে তিনজন গ্রেপ্তার হলেও দুইজন হত্যা মামলা এবং একজন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মামলার আসামি। এর মধ্যে হত্যা ও সহিংসতার মামলার দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারিক। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে আসামিকে রাঙ্গামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভিন মিলির আদালতে তোলা হলে বিচারক এই নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, জেল হাজতে পাঠানো আসামি মো. রুবেল (২৩) রাঙ্গামাটি জেলা শহরের চম্পকনগর এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে আদালতে তোলা হলে রুবেল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলা থেকে আসামি রুবেল গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের রাঙ্গামাটি শহর থেকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাঙ্গামাটি শহরের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনায় জেলা শহরের কালিন্দীপুর এলাকার প্রবেশ মুখে অনিক কুমার চাকমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অনিক কুমার চাকমা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা জীবতলী ইউনিয়নের নোয়াদম পাড়ার আদর সেন চাকমার ছোট ছেলে এবং কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দুদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন অনিকের বাবা আদর সেন চাকমা।
বিআরইউ