শ্রীমঙ্গলের সাবেক মেয়র মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
শ্রীমঙ্গলের সাবেক মেয়র মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

শ্রীমঙ্গল সাবেক পৌর মেয়র মহসীন মিয়া (মধু) গংদের দুর্নীতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন মো. মামুনুর রশীদ নামের এক ব্যক্তি।

অভিযোগে উল্লেখ করেন, সাবেক পৌর মেয়র মহসীন মিয়া মধু, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মো. জহীর, সাবেক পৌর কমিশনার মো. আ. জাবের আজাদ, আ.করিম, কুতুব উদ্দিন, পৌর কমিশনার আ. সালাম, ফয়সল আহমদ, পৌর মেয়রের ভাই মো. সেলিম মিয়া, সাবেক পৌর মেয়র মহসীন মিয়া (মধু) অত্যন্ত হতদরিদ্র লোক ছিলেন।

তিনি আশির দশকে শ্রীমঙ্গল কালীঘাট রোড এলাকায় সহজ সরল মানুষের দৈন্যতাকে কাজে লাগিয়ে আল-আমিন সমিতি নামীয় একটি সমিতি করে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এবং সমিতির সদস্যদেরকে হতদরিদ্র থেকে নিঃস্ব করে সমিতি ভেঙে তিনি কমিশনার নির্বাচিত হয়।

এছাড়াও টেন্ডারবাজি করে এবং প্রভাব খাটিয়ে সরকারি পাহাড়ি ভূমি দখল করে গাছ কেটে বিক্রি করে ক্রমান্বয়ে কোটি কোটি টাকা বেআইনি পথে হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে পৌরসভার মেয়র হন।

স্থানীয় সাবেক চিফ হুইপ এমপি আ. শহিদের প্রত্যক্ষ মদদে ক্রমান্বয়ে পৌরসভার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন দুর্নীতি করে কালো টাকার পাহাড় গড়েন এবং সাবেক চিফ হুইপ এমপি আ. শহিদের বিগত ২০২৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনের কৃষিমন্ত্রী হওয়ার পর মহসিন মিয়া মধু মন্ত্রীর সহযোগিতায় পৌর এলাকায় বিভিন্ন কাজে লাগামহীনভাবে দুর্নীতি করার সুযোগ নিয়ে সকলেই অসৎ পথে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

মহসীন মিয়া (মধু) পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে স্টেশন রোডে পৌর মার্কেট নির্মাণ করে সরকারি ৫ লক্ষ টাকা রেটের দোকান পজিশন ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা হারে বিক্রয় করে প্রতি দোকানে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, মহসীন অডিটরিয়াম নির্মাণেও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। মেয়রের ভাতিজা সেলিম মিয়া লাউয়াছড়া বনভিটি এলাকায় মহসিন মিয়ার অবৈধ লেমন গার্ডেন নামীয় রিসোর্ট অসামাজিক কার্যকলাপ সংগঠিত চালান। 

মহসিন মিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে পৌর এলাকায় অজস্র বেআইনি অটোরিকশা পারমিশন দিয়ে সার্বক্ষণিক যানজট সৃষ্টি করছেন। পৌর এবং ড্রেনের মাটি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় নজির বিহীন দুর্নীতি করেছেন। পুরাতন ইট পৌরসভার গাড়ি দিয়ে তাহার নোওয়াগাঁওয় বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে নিয়া যান।

কথিত কৃষিমন্ত্রীর জবরদখলকৃত লাউয়াছড়া বন বিটের প্রায় ৫৫ একর ভূমি (টি-প্লান্টেশন নামীয় প্রজেক্টের) বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় উদ্ধার করলেও প্রভাবশালী সেলিম মিয়ার জবর দখলীয় ৩০-৩২ একর ভূমি অদ্যাবধি উদ্ধার হয় নাই। সেখানে তিনি লেমন গার্ডেন নামীয় রিসোর্টের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন।

পৌর কমিশনার আ. সালাম, ফয়সল আহমদ প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে টেন্ডারবাজি করে পৌরসভার কোটি কোটি টাকা ক্ষতি করেন। মেয়র, কৃষিমন্ত্রী, কমিশনার পার্সেন্টেজ গ্রহণ করতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি অপকর্ম আত্মসাৎমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন মামুনুর রসিদ।

ইএইচ