আল্লামা সাঈদী ও মামুনুল হকের কথা বলায় চাকরি হারালেন খতিব

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
আল্লামা সাঈদী ও মামুনুল হকের কথা বলায় চাকরি হারালেন খতিব

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় গত শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবার বাংলা বয়ানে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ও আল্লামা মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম ওলামাদের উপরে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের কথা বলার কারণে চাকরি হারিয়েছেন মসজিদের খতিব।

খুতবায় রাসুল (সা.) এর ইসলাম প্রচারে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। রাসুলের নির্যাতনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। খুতবার মধ্যে ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ও মাওলানা মামুনুল হকের নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলেন। এতে মসজিদ কমিটির আওয়ামী লীগের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে ইমামকে চাকরিচ্যুত করতে এদিন রাতেই মসজিদ কমিটি (আওয়ামী লীগের) মিটিং করে ইমামকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটি।

ভুক্তভোগী খতিবের নাম মাওলানা মো. ওসমান গণি। তিনি উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পীরগাছি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম।

শনিবার রাতে খতিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিউল আওয়াল মাস ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রাসুল (সা.) এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করছিলাম। গত জুমাতে আলোচনার বিষয় ছিল রাসুল (সা.) এর সংগ্রামী জীবনী নিয়ে।

বলেন, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ফেরাউন ও মুসা (আ.) সহ একাধিক নবী রাসুলের কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা  বলেছেন, মূসা (আঃ) দ্বিনের কাজ করতে গিয়ে অনেক জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সুতরাং আপনিও জুলুম নির্যাতনের শিকার হবেন। তবে বিজয় আপনাদের হাতেই আসবে, যারা বিরোধিতা করবে ফেরাউনের বংশধরের মত পরাজিত হবে। হযরত ইউসুফ (আ.) কে নারী কেলেঙ্কারি দিয়ে ফাঁসানো হয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে বলেছিলাম, যারা কুরআনের কথা বলবে তাদের উপরে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আল্লামা মামুনুল হকের উপরে নারী কেলেঙ্কারির মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর উপরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছিল এবং তাকে শহীদ করা হয়েছে। উদহারণ হিসেবে দুই আলেমের কথা বলায় তারা আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমি সামনে জুম্মার নামাজে এসে নামাজ পড়িয়ে বিদায় নিতে চাইলেও সে সুযোগ দেয়নি।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, হুজুর খুতবায় কুরআন হাদিসের কথা বলছিল। এক পর্যায়ে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ও মাওলানা মামুনুল হকের কথা বলায় মসজিদের আওয়ামী লীগপন্থি কিছু লোক হট্টগোল শুরু করে। এটা সামনে জুমায় বসে সমাধানের কথা ছিল কিন্তু কিছু লোক হুজুরকে রাখবে না বলে আমি হুজুরকে বুঝিয়ে তার বেতন দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগপন্থি লোকগুলোর নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে চাননি।

ইএইচ