৩০০টি ছররা গুলি শরীরে: ফেনীর সাহেদুলের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
৩০০টি ছররা গুলি শরীরে: ফেনীর সাহেদুলের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার

শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় অংশ নিয়ে বাম চোখ হারিয়েছে সাহেদুল ইসলাম। মাথা, মুখে ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩ শতাধিক ছররা গুলি লেগেছিল তার।

গত ৫ আগস্টের পর সিএমএইচসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিলেও এসব গুলি এখনো তার শরীরে রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ সাহেদুলকে দেশের বাইরে নিয়ে গুলি বের করতে হবে। অর্থাভাবে সেটি সম্ভব না হওয়ায় চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তার পরিবার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ যশপুর ওয়ার্ডের মির্জাপাড়ার বাসিন্দা সাহেদুল ইসলাম। দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। বাবা নুর আলম অ্যাজমা ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছেন বহু আগে। বড় ভাই তৌহিদুল ইসলামের আয়ে সংসার চলে। এতে পরিবারের খরচ চালানোর পাশাপাশি সাহেদুলের চিকিৎসার খরচে টানাপড়েন দেখা দেয় তাদের।

সাহেদুলের বোন ফাহিমা আক্তার জানান, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে অপারেশনে বাম চোখ নষ্ট হওয়ার কথা জানালেও চিকিৎসকরা গুলি বের করতে পারেননি। তার বাম চোখে এখনো দুটি গুলি রয়েছে। এছাড়া মাথায় ১৯৪টি, দুই হাতে শতাধিক, বুকে তিন-চারটাসহ তিনশতাধিক গুলি লাগে তার।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ফাহিমা আরও জানান, সিএমএইচ থেকে এক সপ্তাহের ছুটি দেয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা সাহেদুলকে নিয়ে বাড়ি এসেছেন। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী পুনরায় সিএমএইচে নেয়া হবে। দেশে চিকিৎসা অনুযায়ী তার শরীর থেকে গুলি বের করতে গেলে ব্রেন এমনকি জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।

এছাড়া সুচিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত থাইল্যান্ড নেয়া প্রয়োজন। শুরুর দিকে সরকারিভাবে জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ টাকা পেলেও ইতিমধ্যে ধারদেনা করে আড়াই লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা চালানো হয়েছে। বাকি চিকিৎসা কীভাবে চলবে এনিয়ে তার পরিবার দিশেহারা বলেও জানান ফাহিমা।

সাহেদুলের বাবা নুর আলম জানান, চিকিৎসা করানোর জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের বাইরে নিয়ে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করানো যেত। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকালের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ইএইচ