পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় মদ সহ এলাকার চিহ্নিত দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ভোর পর্যন্ত পৃথক-পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৬২ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় (অফিসার চয়েস) মদ সহ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদির জিলানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার অপর দুই মাদক কারবারি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
একই সময় ওই এলাকার আরও একটি অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল মদ সহ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার অপর সহযোগী রেজাউল করিম কৌশলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় পৃথক পৃথক ২ টি মামলা দায়ের করা। ৩৬(১) সারণির ২৪(খ)/৩৪/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অপরাধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার মাদক কারবারিরা হলো– উপজেলার লাকমা গ্রামের ড. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে (ইঞ্জিনিয়ার) আব্দুল কাদির জিলানী ( ৩২), অপর মামলায় একই গ্রামের মৃত আঃ রহমানের ছেলে শাহ জাহান (৫৫)।
মামলায় পলাতক আসামীরা হলো, উপজেলার লাকমা গ্রামের গোলাম হোসেন’র ছেলে আওয়াল মিয়া (৩০), শামছুদ্দিনের ছেলে মনু মিয়া(২৭), একই গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম(৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ওই দু’জন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি প্রভাবশালী হওয়ায় বুক ফুলিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে মাদকের কারবার করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত ১২ টার পরপর সীমান্তের ওপার ভারত থেকে মাদকের চালান দেশে এনে নিজ বসত ঘরে লুকিয়ে রাখে।
এমন সংবাদ পেয়ে ট্যাকেরঘাট ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ এস আই যিশু দত্ত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাকমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয় এবং তাদের হেফাজতে থাকা ১০২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এরপর সকালে তাহিরপুর থানায় নিয়ে প্রচলিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করে বিকাল ৫ টার দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিআরইউ